অভিজ্ঞতা ছাড়া অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ টাকা ইনকাম

অভিজ্ঞতা ছাড়া অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ টাকা ইনকাম হয়. হ্যাঁ এটি সম্পূর্ণ সত্য. আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন যদি আপনি সফল পন্থা অবলম্বন করে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন.



পেজ সুচিপত্র

ফ্রিল্যান্সিং কি

নতুন অবস্থায় কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন

কি কি কাজের উপর ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়

কি কারনে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর মানুষের মন মানসিকতা উঠে যায়

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন হয়

ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের কম্পিউটার থাকতে হবে

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি ভালো হবে

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে সর্বপ্রথম কি প্রয়োজন হয়


ফ্রিল্যান্সিং কি

ফ্রিল্যান্সিং অর্থ হচ্ছে এক ধরনের মুক্ত পেশা । সহজ ভাষায় যদি বলি, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মুক্ত পেশা যেখানে আপনি নিজের ইচ্ছেমতো সময় বের করে অথবা নিজের সময় অনুযায়ী নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করে একটি ভালো পরিমাণ এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। আমরা যদি আরো কিছু চাকরির কথা চিন্তা করি ,সেটি সরকারি অথবা বেসরকারি যে রকমেরই চাকরি হোক সেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় মেন্টেন করে কাজে যেতে হয় এবং সেই সময় অনুযায়ী কাজ সম্পূর্ণ করে নিজ কর্মস্থল থেকে ফিরে আসতে হয়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা ক্ষেত্রে ধরা যায়, ফ্রিল্যান্সিং এক ধরনের মুক্ত পেশা।


নতুন অবস্থায় কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন

নতুন অবস্থায় কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায় এটি নিয়ে কম বেশি সবাই চিন্তিত থাকে। সর্বপ্রথম আমাদের জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে মূলত কাজগুলো কিসের উপর হয়। তারপর নির্দিষ্ট একটি কাজকে নিজের লক্ষ্য বানিয়ে সেটির উপর স্কিল অর্জন করতে হবে। তবেই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যাবে। আমরা নতুন অবস্থায় যে ভুলটি করি তার মাধ্যমে সর্বপ্রথমে আমাদের ফ্রিল্যান্সার হওয়ার মতো মন-মানসিকতা ভেঙ্গে যায়। এজন্য আমরা নিজেরা ফ্রিল্যান্সিং জগতে আগ্রহ হই না এবং অন্যদেরকেও এখানে উৎসাহিত করতে পারিনা। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার মত স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে, সর্বপ্রথম আপনাকে যেকোনো একটি কাজের উপর সেই কাজের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত স্কিল অর্জন করতে হবে। যখন আপনি একটি কাজ সম্পূর্ণভাবে শিখতে পারবেন এবং সেই কাজের উপর প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করবেন তখন সেই কাজটি আপনার জন্য যেমন সহজ হবে আরো একটি নতুন কাজ করার মত দক্ষতা তৈরি থাকবে। যখন আপনার আরও একটি কাজ করার মত দক্ষতা তৈরি হবে চাইলে আপনি খুব সহজেই নতুন আরো একটি কাজ শিখে বর্তমান করা কাজের পাশাপাশি সেটিও চেষ্টা করতে পারেন এবং আপনি সেখানেও সফলতা অর্জন করতে পারেন।



কি কি কাজের উপর ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজটি মূলত আপনি যে কাজটির উপর দক্ষতা অর্জন করবেন সেই কাজ নিয়ে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হবে। মনে করুন, আপনি ওয়েব ডিজাইন অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর সম্পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেছেন।, এখন আপনার কাজ হবে মার্কেটপ্লেসে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা এবং সেখানে ওয়েব ডিজাইন অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ের যে কাজগুলো বিদেশি বায়াররা আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ দিবে আর সেই কাজ আপনার নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বায়ারকে জমা দিতে হবে। এভাবেই মূলত ফ্রিল্যান্সিং জগতের সকল কাজ সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনার ক্যারিয়ার সম্পূর্ণভাবে গড়ে নিতে, তাহলে আমার রিকুয়েস্ট থাকবে অবশ্যই সর্বপ্রথম যে কোন একটি কাজের উপর নিজের দক্ষতা তৈরি করবেন। তারপর মার্কেটপ্লেসে কাজের সন্ধানে যাবেন তখন অবশ্যই আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ করার দক্ষতা রাখবেন এবং ভবিষ্যতে খুব সহজে সফল হতে পারবেন।




কি কারনে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর মানুষের মন মানসিকতা উঠে যায়

যখন আপনি একটি কাজ সম্পূর্ণ না হতেই অন্য আরও একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন শুরু করবেন তখন আপনি পূর্বের কাজটির নাই পরের যে কাজ সেটিও সঠিকভাবে করতে পারবেন না। অনেকে রয়েছে যারা একটি কাজ এর উপর সম্পূর্ণ দক্ষতা অর্জন না করতেই আরও একটি কাজ খুব সহজেই বেছে নেয় তখন তারা মার্কেটপ্লেসে গিয়েও তাদের নিজের দক্ষতা না থাকায় কোন কাজ পায় না। এজন্য সেই মুহূর্তে তারা বিভিন্ন হতাশায় ভোগে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর উপর থেকে তাদের মন মানসিকতা উঠে যায়। তবে এটি তাদের সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যক্তিগত একটি ভুলের কারণে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আসার মন-মানসিকতা উঠে উঠে যাই।


ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন হয়

ফ্রিল্যান্সিং করতে কয়েকটি জিনিস প্রয়োজন আমি ধাপে ধাপে জিনিসগুলোর বর্ণনা সম্পূর্ণ করব। সর্বপ্রথম যেটি প্রয়োজন সেটি হল প্রাসঙ্গিক দক্ষতাঃ আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তখন আপনাকে মার্কেটপ্লেসে থেকে কাজ করতে হবে। মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য অবশ্যই কম্পিউটার এর দক্ষতা থাকতে হবে। এই কম্পিউটার দক্ষতা এর উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং জগতের যাত্রা শুরু করতে হবে। আমরা যেহেতু নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব আমাদের কারোরই মার্কেটপ্লেসে কাজ করার মত পূর্বের অভিজ্ঞতা থাকবে না। এজন্য সর্বপ্রথম একটি স্কিল অর্জন করার মাধ্যমে মার্কেটপ্লেসে যেতে হবে। যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মাইক্রোসফট অফিস,গুগল এ সার্চ করে কোন কিছু জানার অভিজ্ঞতা ইত্যাদি।

যে বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেই বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকা। যেমন ধরেন আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর কাজ করতে চাচ্ছেন অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কাজ করতে চাচ্ছেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার লেখালেখির উপর অভিজ্ঞতা থাকতে হব্ল। গুগলে সার্চ করে নতুন কিছু সন্ধান করার মত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ডকুমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় কিভাবে সাজিয়ে লিখলে সুন্দর দেখাবে এরকম দক্ষতা গুলো থাকতে হবে। অন্যথায় আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে Canva, Photoshop ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।


ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের কম্পিউটার থাকতে হবে

ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কম্পিউটার থাকতে হবে এবং এই কম্পিউটার এর উপর যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে। যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত সহজ কাজগুলো করতে চান, তাহলে আপনাকে খুব বেশি হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নিতে হবে না। এক্ষেত্রে কম হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর মূল্য ৩০ থেকে ৫০ হাজার এর মধ্যে খুব সহজেই হয়ে যায়। তবে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ওয়েব ডিজাইন এর মত ভারী কাজগুলো করতে চান তাহলে অবশ্যই হাই কনফিগারেশন এর কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে না হলে কাজের মাঝখানে অনেক রকমের সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে হাই কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ গুলোর ক্ষেত্রে ৭০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যে ক্রয় করতে হবে।



ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি ভালো হবে

আপনি যদি নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বসে আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজটি করতে চান তাহলে আমি সাজেস্ট করব আপনার জন্য ডেক্সটপ কম্পিউটার ভালো হবে। কারণ ল্যাপটপ ডেক্সটপ এর তুলনায় অনেক দিক থেকে সমস্যার হয়ে থাকে। আবার একটি ল্যাপটপ এর চেয়ে ডেস্কটপ সম্পূর্ণ নতুন এর দাম অনেকটা তুলনামূলক কম হয় । অন্যথায় আপনি যদি মনে করেন আপনি বাসায় একবার রুমে বসে, একবার বাহিরে বসে কাজ করবেন তাহলে আপনার জন্য ল্যাপটপ সুবিধা জনক হবে। যদি বাহিরে কোথাও আপনার কর্মস্থল হয় আপনাকে সেখানে যাতায়াত করতে হয় সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য অবশ্যই ল্যাপটপ ভালো হবে।


ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে সর্বপ্রথম কি প্রয়োজন হয়

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে সর্বপ্রথম প্রচুর পরিমাণ ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আপনি ধৈর্য ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং জগতে কখনো সফলতার দেখা পাবেন না। অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যের সহিত কাজ করতে হবে, তবেই আপনি খুব অল্প সময়ে সফল হতে পারবেন। সঠিক নিয়ম মেনে সঠিকভাবে কাজ শিখে মার্কেটপ্লেসের কাজ করতে পারলে তবেই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের পরিচয় লাভ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং জগত মূলত একটিভ ইনকাম এর মাধ্যমে শুরু হলেও এটি প্যাসিভ ইনকাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। আপনি নিজে যখন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন এবং সেখান থেকে আপনার ইনকাম হবে এটি হল একটিভ ইনকাম। অন্যথায় আপনি যখন আপনার কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করবেন এখানে আপনার প্যাসিভ ইনকামের যাত্রা শুরু হবে।








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Teachy Learning এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url