গাজর খাওয়ার উপকারিতা
গাজর অত্যন্ত পুষ্টিগুন সম্পন্ন ও আঁশযুক্ত শীতকালীন সবজি। যেটি সারা বছরই প্রায় পাওয়া যায়।তবে এটি শীতকালীন সবজি হিসেবেই অধিক পরিচিত।
পেজ সূচিপত্র
গাজর কিভাবে খাবেন
১. গাজর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে।
২. গাজর খাওয়ার সময় অবশ্যই খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে।৩. রান্নার ক্ষেত্রে গাজর খুব বেশি সেদ্ধ করা উচিত নয়।
গাজর খেলে কোন ভিটামিন এর অভাব পূরন হয়
গাজর কোন সময় খাওয়া উচিত
গাজর খাওয়ার উপকারিতা
১. জন্ডিসের সাথে মোকাবিলা
২. চোখের জ্যেতি বৃদ্ধি
৩. হার্টের জন্য উপকারী
৪. হাড় মজবুতে সহায়তাকারী
৫. ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
৬. ওজন কমাতে সহায়তাকারী
৭. হৃদয়ে স্বাথ্য উন্নয়নকারী
গাজর খাওয়ার মাধ্যামে ত্বকের যত্ন সাধনের প্রক্রিয়া
গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন - এ থাকায় ত্বকের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বকের ব্রন,বিভিন্ন প্রকার দাগ ইত্যাদি সরিয়ে ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। গাজরে পটাশিয়াম থাকায় গাজর খেলে এই পটাশিয়ামের অভাব দূর করে ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
গাজরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় চুল পড়া কমিয়ে চুলকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
গাজর খেলে যেসব রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়
দাঁত পরিষ্কারের কাজে গাজর বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের জন্য গাজর একটি সমাধান হিসেবে কাজ করে। গাজরে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ হয়।
যারা অতিরিক্ত ওজন থেকে স্বাভাবিক হতে চান তাদেে জন্য গাজর যাদুকরী উপায়ে কাজ করবে। গাজর খেলে পেট ভরে যায় কিন্তু শরীরে ক্যালোরি যোগ হবে না।তাই ওজন স্বাভাবিকে আনতে গাজর খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
গাজর খাওয়ার সঠিক পরিমান
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পরিমান গাজের জুস পান করলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সকালে গাজর খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য অনেক উপকার। গাজর খাওয়ার পরে সাথে সাথে পানি পান করবেন না - কারন কোনো ফল খাওয়ার পরে সেটি শরীরে গিয়ে হজমকারী এনজাইম গুলোর কাজ সম্পূর্ণ করতে থাকে। এজন্য কিছু সময় পরে পানি পান করবেন।
গাজর খেলে কি ডায়াবেটিস এর সমস্যা বেশি হয়
গাজর খেলে কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে
যেকোনো খাবারই প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সেবন করলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। গাজর বেশি খেলে হজমের সমস্যা হয়,পেট ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখা দেয়। অতিরিক্ত গাজর খেলে ঘুমের সমস্যা হপারে। সব জিনিসই প্রয়োজন মাফিক সেবন করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়া নিয়ে গর্ভবতী মায়েদের মনে অনেক রকম প্রশ্ন!
আজকে আমি আপনাদের জানাবো সঠিক উত্তর সাথে বাখ্যা - গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়া যাবে তবে অতিরিক্ত গাজর খেলে সমস্যা আছে। কারন গাজের ভিটামিন-এ রয়েছে। গর্ভাবস্থায় ভিটামিন-এ এর প্রয়োজন আছে তবে খুব বেশি প্রয়োজন নাই। গাজর সপ্তাহে একদিন অন্য সবজির সাথে ১০-১২ গ্রাম পরিমাণ গাজর রান্না করে খেতে পারেন।
Teachy Learning এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url