তিসি বীজ দিয়ে চুল সোজা করার নিয়ম

তিসি বীজ হলো এক প্রকার ফাংশনাল ফুড।  এটি খয়েরি আর খেতে মচমচে।  এটিতে রয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সব উপাদান। অন্যান্য খাবারের চেয়ে ৮০০ গুন বেশি লিগন্যানস থাকে।




তিসি বীজ এর সঠিক ব্যবহার

আমরা সারাদিন বিভিন্ন ক্লান্তির মধ্যে পার করি। দিন শেষে ত্বকের যত্ন, চুলের যত্ন কোনো টাই নেওয়ার ইচ্ছে হয় না। তবে আমাদের উচিত দিনের মধ্যে অল্প কিছু সময় বের করে ত্বক এবং চুলের যত্নে কাজে লাগানো।যখন আমরা বেশিদিন চুলের যত্ন নেবো না তখন দেখা যায়, চুলের গোড়ায় ময়লা জমাট বাধে এবং চুল পড়ার পর্ব শুরু হয়ে যায়।


চুল পড়া আমাদের সমাজে খুব ভয়াবহ একটি সমস্যা।অধিকাংশ মেয়েরা এ সমস্যাই ভোগে। শুধু মেয়েরা নয় অনেক ছেলেরাও এ সমস্যার সাথে পরিচিত। চুল এমন একটি জিনিস যেটি মানুষের সৌন্দর্য দ্বিগুন করে তোলে।আমরা সঠিক নিয়মে চুলের যত্নে আগ্রহী হলে অবশ্যই চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে রুখে দাড়াতে পারবো।


আমি আজকে আপনাদের সাথে এমন একটি উপকারি বীজ নিয়ে কথা বলবো - যেটি ব্যবহারে আপনার চুলের গোড়া হবে মজবুত এবং চুল পড়া কমিয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। নিশ্চয়!  অবাক হচ্ছেন কি সেই উপকারি বীজ?


উপকারি সেই বীজ হলো - তিসি বীজ। এই তিসি বীজ এর সঠিক ব্যবহার আপনার চুলকে স্বাথ্যসবল এবং সঠিক নিয়মে পুষ্টি জোগান দিতে সাহায্য করে।




তিসি বীজ এর তেল ব্যবহারে চুল সোজা করার নিয়ম

তিসি বীজ এর তেল ব্যবহারে চুল সোজা করার নিয়ম জানানোর আগে, আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি- পার্লারে গিয়ে আমরা যে চুল সোজা করে আনি এখন থেকে আপনি চাইলে খুব সহজে নিজের বাড়িতে বসে সেটি করতে পারবেন। 


আমরা যখন পার্লারে চুল সোজা করতে যাই তখন বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পার্লার থেকে চুল সোজা করা যায় খুব সহজে কিন্তু সেটি করার কারনে আমাদের চুলে ভীষণ ভাবে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। চুল নষ্ট হয়ে যায়, সহজেই চুল উঠে যায় ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।


এক টেবিল চা-চামচ তিসি বীজ গুঁড়ো করে নিন। সেখানে ২ টেবিল চা-চামচ নারিকেল তেল দিন। এই দুটি উপকরন খুব ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এটি মাথায় ব্যবহার করুন। ২০-৩০ মিনিট এর জন্য এটি রেখে দিন। তারপর সেটি শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন





তিসি বীজ যেসব রোগ থেকে রক্ষা করে

গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করেঃ তিসি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারারাত।  সকালে সেই পানি পান করতে হবে। তাহলে গ্যাস্ট্রিক অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আসে।রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রন রাখে।

তিসি বীজে অধিক পরিমান ফাইবার রয়েছে। তবে যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা তিসি হতে দূরে থাকবেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Teachy Learning এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url